উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের বিরত রাখা দলের সিদ্ধান্ত: ওবায়দুল কাদের

ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বিশেষ প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের স্বজনদের বিরত রাখা দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার সকালে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই মন্তব্য করেন সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের বিরত রাখা আওয়ামী লীগের নীতিগত সিদ্ধান্ত, এখানে আইনগত কোনো বিষয় নেই।’

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচনটি আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে—এ ভাবনা থেকে আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ স্থগিত করেছে। এর মানে এই নয় যে অন্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের কর্তাব্যক্তিরা আমাদের দেশে মানবাধিকার যে চোখে দেখে, নিজের দেশে সেই দৃষ্টিতে দেখবে না কেন?’

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তবে সত্য বললে, তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে।’

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার দিকে ইঙ্গিত করে সরকারের এই জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে, সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই—এমন কথা তো আমরা বলিনি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। যেমন দ্রব্যমূল্যের যে চাপ, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ও এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।