ফ্যক্ট চেকের কলাকৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইন্টারনেটে অবাধ তথ্যপ্রবাহের ‍যুগে নানা ধরনের প্রতারণাও বাড়ছে। ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর এর মধ্যে অন্যতম, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো যেসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায় না সেটিই গুজব। এ ধরনের তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ে মূল ধরার গণমাধ্যমে ভরসা রাখার বিকল্প নেই।

শুক্রবার  ঢাকাতে ফ্যক্ট চেকের কলাকৌশল বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন আলোচকরা। 

প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সাইবার প্যারাডাইজের পৃষ্ঠপোষকতায় কর্মশালার আয়োজন করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিক্যাফ)। এতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অংশ নেন। রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে ইউএস সফটওয়্যার ল্যাবে ব্যবহারিক এই প্রশিক্ষণ হয়।

কর্মশালায় বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য যাচাইয়ের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন ইউল্যাবের তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচের ফ্যাক্টচেকার শুভাশীষ দীপ । বক্তব্য দেন সিক্যাফের উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. মুশফিকুর রহমান ও সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।

প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান বলেন, প্রযুক্তির যেভাবে প্রসার হচ্ছে তার সঙ্গে কিছু অপব্যবহারও বাড়ছে। পরিকল্পিতভাবে ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর পেছনে সংশ্লিষ্টদের স্বার্থ জড়িত থাকে। এটি ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক কিংবা রাষ্ট্রীয়ভাবেও হতে পারে। এজন্য ব্যবহারকারীদের সচেতনতা গুরুত্বপূর্ণ। আর সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাংবাদিকরা। এজন্য ফ্যক্ট চেকের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনও জরুরি।