রাকসু নির্বাচন: ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ১২ প্রস্তাব দুই প্যানেলের
![]() |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ভবন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদসহ ১২টি প্রস্তাবনা দিয়েছে ‘রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ’ ও ছাত্রদল মনোনীত প্যানেল। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন প্যানেল দুটির প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ১২ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি ও রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মেহেদি মারুফ।
তাঁদের অন্য দাবিগুলো হলো ভোটারদের আঙুলে উচ্চমানসম্পন্ন অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা; স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের ব্যবস্থা; প্রার্থীদের নির্বাচনী খরচ নির্দিষ্ট; সব প্যানেল বা প্রার্থীর পোস্টারের সংখ্যা নির্দিষ্ট; নির্বাচনী ব্যালট ছাপানো, বাঁধানো, নাম্বারিং করা পর্যন্ত এজেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ; পর্যাপ্তসংখ্যক বুথের ব্যবস্থা; ভোটের সময় ডিজিটাল বোর্ডে ভোটার নম্বরসহ প্রকাশনা চলমান; সাইবার বুলিং সেল কার্যকর এবং ভোটের দিন ভোটারদের ব্যালট লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আরির বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেমন উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে, তেমন বেশ কিছু আশঙ্কাও দেখা যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এই দুর্বলতা আমাদের অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন প্যানেলের মধ্য প্রশ্ন উঠেছে।’
রাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে শেখ নূর উদ্দিন বলেন, ‘তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ছাত্রশিবির কোনো রকম আচরণবিধির ন্যূনতম তোয়াক্কা করছে না। তারা হলে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতর বিতরণ, পানির ট্যাংক বসানো, মুড়িপার্টিসহ শিক্ষার্থীদের নানা উপঢৌকনের মাধ্যমে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। যার ফলে “টাকা যার, ভোট তার” নীতির প্রবর্তন হচ্ছে। এটা সুস্পষ্ট আচরণবিধি লঙ্ঘন।’
শেখ নূর উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে বহুবার অভিযোগ দিলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাকসু নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হবে না। এ ছাড়া হলে ব্যালট নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে ছাত্রশিবিরকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই দীর্ঘদিন পর প্রতিক্ষিত রাকসু নির্বাচন যাতে কোনোভাবে কালিমালিপ্ত না হয়। আমরা চাই অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন।’
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন