{getBlock} $results={3} $label={ছবি} $type={headermagazine}

চবি ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ: মাথায় আঘাত পেলেন কেউ, ভাঙল হাত কারও

প্রকাশঃ
অ+ অ-

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

কারও মাথায় ব্যান্ডেজ, কারও হাতে। স্ট্রেচারে আনা হচ্ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডের সামনে শিক্ষার্থীদের ভিড়। আহত সহপাঠীদের নিয়ে ২০ কিলোমিটার দূরের ক্যাম্পাস থেকে এসেছেন তাঁরা। এখন পর্যন্ত ৬০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে চমেকে আনা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

চমেক হাসপাতালে আসা শিক্ষার্থীরা জানান, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে জোবরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুরো ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে অনেক আহত শিক্ষার্থীদের নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের পাঠানো হয়েছে চমেক হাসপাতালে। আহত শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ মাথা, হাত ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। তখনো ক্যাম্পাস থেকে বিভিন্ন যানবাহনে আহত শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছিল। বেশির ভাগ আহত শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে ক্যাজুয়ালটি বিভাগে। কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর সেখান থেকে তাঁদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে।

সংঘর্ষ সম্পর্কে জানতে চাইলে চমেকে আসা শিক্ষার্থীরা বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট–সংলগ্ন জোবরা গ্রামে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মুখোমুখি অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। ইটের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও অন্তত ১১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী এখনো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নানা এলাকায় আটকে আছেন। তাঁরা বের হতে পারছেন না।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ আহমেদ বলেন, ‘দেশি অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন। কিছু ভবনে এখনো শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে পুলিশ নীরব ভূমিকায় ছিল। আমিও নিজেও আহত হয়েছি।’

এদিকে আহত শিক্ষার্থীদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, গতকাল শনিবার ও আজ দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ১৮০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৬০ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়েছে। তবে এখনো কারও নাম–ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ বেলা সাড়ে তিনটায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল রাতের সংঘর্ষে অন্তত ৭০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর আজ দুপুর থেকে আবারও সংঘর্ষের সূত্রপাত হলে অন্তত ১১০ শিক্ষার্থী আহত হন। তবে জোবরা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন