জাকসু নির্বাচনে খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ, ভিপি-জিএস পদে লড়তে চান ৩৭ জন
![]() |
| জাকসুর খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের খসড়া প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২০ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনের সিনেট হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম। তিনি জানান, মোট জমা পড়া ২৭৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ২০টি বাদ পড়েছে। তবে কাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত বৃহস্পতিবার ছিল জাকসু নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওই দিন নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয় জাকসুর ২৫টি পদের নির্বাচনের জন্য ২৭৩টি মনোনয়নপত্র জমা দেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের
সদস্যসচিব এ কে এম রাশিদুল বলেন, বৃহস্পতিবার যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল,
সেটি তাৎক্ষণিক প্রকাশ করায় হিসেবে ভুল ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,
জাকসু নির্বাচনের খসড়া প্রার্থী তালিকায় সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২০ জন,
সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৭ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৯ জন,
সহসাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ২১ জনের নাম রয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ১৩ জন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৯ জন, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক ১১ জন, নাট্য সম্পাদক পদে ৭ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৫ জন, সহক্রীড়া সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, সহক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) পদে ৬ জন, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ১৪ জন, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (নারী) পদে ৫ জন, সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) পদে ৯ জন, স্বাস্থ্য ও খাদ্যনিরাপত্তা–বিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী হয়েছেন।
কার্যকরী সদস্যপদে ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি পদের বিপরীতে ১৭ জন এবং কার্যকরী সদস্যপদে ছাত্রদের জন্য নির্ধারিত ৩টি পদের বিপরীতে ৩২ জন প্রার্থী হয়েছেন।
প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, জাকসু নির্বাচনের জন্য যে ২৭৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল, তার মধ্যে ২০টি বাতিল হয়েছে। যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের কারও কারও পরীক্ষা ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, ফলে তাঁরা ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এর বাইরে মনোনয়নপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বরসহ বেশ কিছু ভ্রান্ত তথ্যের জন্য কয়েকজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
এ কে এম রাশিদুল আলম আরও বলেন, যাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তাঁদের যদি কোনো আপত্তি থাকে, তাহলে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বরাবর আবেদন করতে পারবেন।
জাকসুর ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৭ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষে বিকেল ৪টায় রায় ঘোষণা করা হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৮ আগস্ট বিকেল চারটা পর্যন্ত। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৯ আগস্ট বিকেল চারটায়। ২৯ আগস্ট বিকেল ৪টা থেকে ৯ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। ভোট গ্রহণ হবে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন