[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

জয়পুরহাটে এক শিক্ষক গ্রেপ্তার, অন্যদের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

আক্কেলপুরে হত্যা মামলায় স্কুলশিক্ষক গ্রেপ্তার | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রহিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনার পর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের মুঠোফোনে অপরিচিত নম্বর থেকে কল দিয়ে পুলিশ বা গোয়েন্দা পরিচয়ে টাকা দাবি করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, টাকা না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে। এতে শিক্ষক সমাজে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

আবদুর রহিম জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মোমিনকে প্রথমে ফোন করা হয়। কলদাতা নিজেকে জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পরিচয় দিয়ে তাঁকে আওয়ামী লীগ ‘দোসর’ বলে মামলা ও গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। বিকাশে ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন, ‘এসপি কি তোর বাপ, এতক্ষণ বসে থাকবে? এখনই মামলা দিয়ে তোকে গ্রেপ্তার করা হবে।’

প্রধান শিক্ষক বলেন, কলদাতারা কখনো থানায়, আবার কখনো থানার পাশের চায়ের দোকানে আসতে বলেন। তিনি ফোনটি পরিচিত একজনকে দিলে তাঁকেও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে ‘ক্রসফায়ার’-এ হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একইভাবে বিদ্যালয়ের আরও পাঁচজন শিক্ষককে ফোন করে থানার ওসি পরিচয়ে টাকা দাবি করা হয়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘আমার কাছেও একই নম্বর থেকে ফোন আসে। আক্কেলপুর থানার ওসি পরিচয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। আমি প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানিয়েছি।’

প্রধান শিক্ষক আবদুল মোমিন বলেন, ‘আমি থানায় বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ পরিচয়ে একদল প্রতারক শিক্ষকদের ভয় দেখাচ্ছে। আমরা আতঙ্কে আছি।’

এর আগে বেত্রাঘাতের দায় এড়াতে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ‘চাঁদাবাজ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের কাছেও একইভাবে টাকা দাবি করা হয়। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিন আগে এক ব্যক্তি নিজেকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক পরিচয় দিয়ে চাকরি খাওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা চান। আমি অস্বীকৃতি জানালে অকথ্য গালাগাল করেন।’

জয়পুরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল কাদের বলেন, ‘আমার মোবাইল থেকে টাকা চাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্র এসব অপকর্ম করছে। পুলিশ পরিচয়ে কেউ টাকা চাইলে তা না দেওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।’

আক্কেলপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। শিক্ষকদের কাছে ফোন করে টাকা দাবি করার ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুঠোফোন নম্বর শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন